প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আমরা যা অর্জন করেছি তা অকল্পনীয়।
বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন- আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমাদের যে দাবিয়ে রাখা যাবে না আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তারই প্রমাণ।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০’এর সমাপনী দিনে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস হলরুমে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এবারের আয়োজনে আমরা আগের তুলনায় ১০ ভাগের ১ ভাগ খরচ করে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রার ১০ গুণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ দর্শনার্থীর কাছে পৌঁছানো। কিন্তু আমরা ১ কোটির বেশি দর্শক, দর্শনার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের মোট রিচ আউট ১ কোটি ৯৩ লাখ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পরিবর্তিত পৃথিবী থেকে আমরা কী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম এবং নিজেদের কিভাবে প্রস্তুত করলাম সেটি তুলে ধরতেই এবারের আয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, শুধু একটা উদাহরণ দেই- চীনের পিপিই যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে লাখ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশের তরুণ ডিজিটাল মার্কেটাররা। শুধু একটি স্টার্টআপ সাড়ে ৬ লাখ ডলার আয় করেছে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে আমাজনের বিকল্প হবে ইভ্যালি।
আলীবাবার বিকল্প হবে চালডাল, হোয়াটস অ্যাপের বিকল্প হবে আলাপন। এমন সব স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকেই গড়ে উঠবে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ উপলক্ষে দেশের আইসিটি খাতে অবদান রাখার জন্য ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১৭টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় আইসিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস