গত ১৬/০৫/২০২৪ তারিখ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, আঞ্চলিক কার্যালয়, বরিশাল এ “স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কর্মকর্তাগণের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে তথ্য প্রযু্ক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর নির্বাহী পরিচালক জনাব রণজিৎ কুমার স্যার (গ্রেড-১), বিসিসি। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব রুম্পা শিকদার, আঞ্চলিক পরিচালক জনাব মোহাম্মদ জসীম এবং বিভিন্ন সরকারী অফিস থেকে আগত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল, সহযোগী অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ ইরফান, সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মশালাটি সকাল ৯:০০ ঘটিকায় শুরু করে দিন ব্যাপি আয়োজন করা হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন অত্র কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব মোহাম্মদ জসীম এরপর কর্মশালার প্রধান আলোচক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব রাহাত হোসেন ফয়সাল বর্তমান সরকারি দপ্তর সমূহে ব্যবহৃত বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এর পর কর্মশালায় উপস্থিত আলোচক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব ইরফান বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রূম্পা সিকদার বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি সরকারী দপ্তরসমূহে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাত্ত গুলো সুশৃঙ্খল ও ডাটা সিকউরড করার ক্ষেতে আইডি পাসওয়ার্ড তৈরী করে, ডাটা ইন্ট্রিগ্রিডি বজায় রাখার জন্য বলেন। আইডি পাসওয়ার্ড যাতে হ্যাক না হয় তার জ্ন্য তথ্য আদান প্রদানে সচেষ্ট থাকতে সকলের নিকট ব্যাক্ত করেন।
এর পর প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) কর্মশালায় উপস্থিত অংশগ্রহনকারীদের উদ্দেশ্যে কিছু মূলবান বক্তব্য পেশ করেন বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন বিদ্যমান তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করলেও আমাদের cloud accounting, Big Data, AI, blockchain, Cyber Security ইত্যাদি ব্যবহারগত বিষয়ে সম্যক ধারণা রেখে আরো তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে যাহাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মত একটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে ধাবিত করতে পারি। তিনি স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট গভার্ণ্যান্স ও স্মার্ট সমাজ নিয়ে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে সেগুলো তুলে ধরেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখার জন্য দপ্তর সমূহের কর্মকর্তাগণদের আহ্বান জানান। বিসিসির তৈরী কৃত ডাটা সেন্টার, ডিজিটাল লিটারেসি, SQTC, সরকারী ইমেইলের ব্যবহার এবং ডিজিটাল সিগনেচার, ই সাইনিং ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরে সেগুলো ব্যবহার বাড়াতে বলেন। যাতে তথ্য প্রযুক্তির সিকিউরিটি এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। এতে সরকারের যথেষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতা তুলে ধরেন। এর পর কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তাগণ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমানে ব্যবহৃত তথ্য প্রযুক্তিকে আরো বেগবান করার জন্য যার যার দপ্তরের দিক থেকে আরো কি কি ধরনের সংযুক্তি এনে তথ্য প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে কর্মশালায় দিন ব্যাপী সকলেই এককভাবে বিভিন্ন মতামত পেশ করে। সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং নিবেন তা অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি সকলকে দাপ্তরিক কাজের গতিশিলতা বাড়িয়ে Door to Door সেবার পরিমান বাড়াতে বলেন এবং ইনোভোটিভ আইডিয়ার মাধ্যমে সমাধান করে সেবার মানোন্নয়ন বাড়াতে বলেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS